স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথমার্ধে একটি গোল দেয়ার পর লেইপজিগের আর জালই খুঁজে পাচ্ছিলো না ম্যানচেস্টার সিটি। এরই মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোলটিও পরিশোধ করে দেয় জার্মান ক্লাবটি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিলো যে, হয়তো ১-১ গোলেই ড্র হতে যাচ্ছে এই ম্যাচ।
কিন্তু ম্যানসিটি শেষ মিনিট পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। দলটিতে রয়েছে সেরা সেরা ফুটবলার। সে আশায় অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি তাদের। মূলত দুটি পরিবর্তনই ম্যাচের ফল বদলে দেয় ম্যানসিটির পক্ষে।
৭২ মিনিটে ম্যানুয়েল আকানজির পরিবর্তে জেরেমি ডোকু এবং ৭৯ মিনিটে ফিল ফোডেনের পরিবর্তে হুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান কোচ পেপ গার্দিওলা।
ম্যাচের শেষ ৮ মিনিটের ব্যবধানে এই দুই পরিবর্তিত ফুটবলারই ২টি গোল করে বসেন। ফলে ৩-১ ব্যবধানেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
এই জয়ে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপে শীর্ষেই রইলো ম্যনাচেস্টার সিটি। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আরবি লেইপজিগ। ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়ং বয়েজ।
এই ম্যাচের আগে হঠাৎ করেই যেন ছন্দপতন ঘটেছিরো ম্যানচেস্টার সিটির। টানা দুটি ম্যাচ হেরে গিয়েছিলো তারা। একটি ইংলিশ লিগ কাপে, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-০ গোলে। অন্যটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উলভারহ্যাম্পটনের কাছে ২-১ গোলে। টানা দুই পরাজয়ের পর জয়ে ফেরা খুব জরুরি ছিল ম্যানসিটির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এসে সে কাজটি করতে পারলো পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ইংলিশ তারকা ফিল ফোডেনের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। এরপর প্রথমার্ধে আর কেই গোল করতে সক্ষম হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরই ৪৮তম মিনিটে লুইস ওপেন্দা গোল করে সমতায় ফেরান আরবি লেইপজিগকে।
১-১ গোলের সমতাতেই যেন ম্যাচ শেষ হতে যাচ্ছিলো। ৮৪তম মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজের কৃতিত্বে আবারও লিড নেয় ম্যানসিটি। ৯০+২ মিনিটে জেরেমি ডোকুর দুর্দান্ত এক গোলে লেইপজিগের জালে শেষবার বল জড়ায় সিটিজেনরা।
ম্যাচ শেষে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা সব বিভাগেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছি। ৫ মিনিট পরই আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হই। বল পজেশনে আমরাই ছিলাম এগিয়ে। সবাই ছিল খুবই পারফেক্ট। আমাদের পরিবর্তনগুলোও ছিল সময়োপযোগি। আমরা সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছি।’